ঢাকা , বুধবার, ২১ মে ২০২৫ , ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
কলমবিরতির প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট ভারতীয় গরু নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা কোরবানির চামড়া সংগ্রহে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিআরটিএ কালো টাকা সাদা করার সব সুযোগ চিরতরে বাতিল চায় টিআইবি শেরপুরে বন্যার শঙ্কা নটরডেম কলেজে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু রহস্যের জট খুলছে না বৃষ্টি ও তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায়-অর্থ উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হোক-সারজিস ১৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার ভিত্তি নষ্ট করা হয়েছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা চলছে-ফখরুল জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি স্টারলিংকের যাত্রা শুরু বাংলাদেশে মাসে সর্বনিম্ন খরচ ৪২০০ টাকা ব্যক্তিগত আক্রমণ করে লাভ নেই, আদালতে লড়তে হবে-আসিফ মাহমুদ মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথ না পড়ানো নিয়ে রিটের আদেশ আজ দাবির ইস্যুতে ক্লান্ত ঢাকা ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ১৮২২.৯৮ কোটি টাকা দাবি করে হাইকোর্টে আবেদন দায়ের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত নুসরাত ফারিয়া সাত মাস ধরে বাসায় আটকে ধর্ষণ, গায়ক নোবেল কারাগারে
* যানজটে নাকাল প্রগতি সরণি, বিকল্প সড়ক বা করিডর নির্মাণের উদ্যোগ

বৃষ্টি ও তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী

  • আপলোড সময় : ২১-০৫-২০২৫ ০৫:২৬:০০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৫-২০২৫ ০৫:২৬:০০ অপরাহ্ন
বৃষ্টি ও তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী
আকাশ থেকে বৃষ্টির ফোটা পড়লেই রাজধানীতে নেমে আসে যানজট। এ যেন এক অবধারিত নিয়তি। তার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে চাওয়া-পাওয়া আর দাবি আদায়ের আন্দোলন। মূলত মুসলধারে বৃষ্টি আর জাতীয় প্রেসক্লাব-নগর ভবন ও শাহবাগের আন্দোলনে ব্যাপক যানজট-জলজটের কবলে পড়েছে নগরবাসী। সাপ্তাহিক কর্মদিবসের মাঝামাঝি এমন টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। অলিগলিতে পানি জমায় পথচারীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। এতে অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বিকালে মুসলধারে রুপ নেয়ায় অস্বস্থির সঙ্গে বেড়েছে চরম ভোগান্তি। নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, ঢাকায় বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা এখন নিত্যনৈমিত্তিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান না হলে নগরবাসীর দুর্ভোগ শুধু বাড়তেই থাকবে। দুই কোটিরও বেশি মানুষের মহানগরী ঢাকায় অবরোধ, সমাবেশ ও ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচিতে প্রতিনিয়ত নগরজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে অচলাবস্থা। এতে যানজট যেমন বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনভোগান্তি। অসহনীয় এ অবস্থা থেকে মুক্তি কবে মিলবে, তা যেন জানা নেই কারোরই। নানান দাবি-দাওয়া নিয়ে এসব কর্মসূচিতে কখনো ছাত্র, কখনো শিক্ষক, কখনোবা রাজনৈতিক দল বা বিভিন্ন সংগঠন রাস্তায় নেমেছে। গতকাল মঙ্গলবার বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এ সময় যমুনা অভিমুখে যাত্রায় পুলিশের বাধার মুখে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। একইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ছাত্রদল। এদিন ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তার কর্মী-সমর্থকরা। এসব কর্মসূচির কারণে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী। প্রতিদিনের যাতায়াতে নাকাল জনজীবন। এতে ঢাকার বাসিন্দাদের অনেকে চরম বিরক্তও। রাস্তা বন্ধ করে এসব কর্মসূচির ফলে সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছানো ও অসুস্থ রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়াসহ নানান ক্ষেত্রে ভোগান্তি বাড়ছে। তবে সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন না করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বারবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও কার্যত তার কোনো সুফল মিলছে না। আন্দোলনকারীরা এসবে কর্ণপাতও করছেন না। তারা মনে করেন, অচলাবস্থা যত তৈরি হবে, দাবি আদায়ের পথ তত সুগম হবে। এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা সবসময় আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করছি, তারা যেন রাস্তা বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করেন। সবাইকে একটু সহনশীল এবং সংযত আচরণ করার জন্য আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। জানা গেছে, রাজধানীজুড়ে অলিগলিসহ অনেক জায়গায় সংস্কার কাজ চলছে। এই কাজ করার পাশাপাশি ড্রেনেজ সিস্টেমের সমস্যায় জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে। এমনকি মূল সড়কেও সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে যায়। পথচারীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি গাড়ি চলাচলেও সমস্যা হয়। ছোট গাড়িগুলো সাবধানে আগায়। গতি কমিয়ে দিতে হয়। কারণ একবার ইঞ্জিনে পানি ঢুকলেই স্টার্ট বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গাড়ির গতি কমে যাওয়ার ফলে যানজট বেড়ে যায়। এদিন আসাদগেট, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, কাওরান বাজার, বাংলামোটর, যাত্রাবাড়ি-গুলিস্তান, গোপিবাগ, মানিকনগর-বৌদ্ধমন্ধীর, রাজারবাগ-বাসাবো, খিলগাও, কমলাপুর, মালিবাগ, মতিঝিল, মোহাম্মদপুর ও পুরান ঢাকার অনেক এলাকায় পানি জমে যায়। এসব এলাকায় যান চলাচলে ধীরগতি দেখা দেয়, অনেক স্থানে যানজট কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এতে তেজগাঁও, শিল্পাঞ্চল ও আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, যা ছড়িয়ে পড়ে মহাখালী পর্যন্ত। এরই মধ্যে দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। অবরোধ আর বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট যানজট বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যায়ও কমেনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী। এদিকে, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন এবং চলমান মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের কারণে রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক প্রগতি সরণীতে যানজট এখন চরমে। এই দুর্ভোগ লাঘবে বিকল্প সড়ক বা করিডোর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রগতি সরণীর উপর চাপ কমাতে তিনটি বিকল্প করিডোর নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে মেট্রোরেলসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রকল্পটির প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম করিডোরটি যাবে পূর্বাচল ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ের ২ নম্বর ইন্টারসেকশন থেকে শুরু হয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মাদানী এভিনিউ, সানভ্যালি আবাসিক, আফতাবনগর হয়ে মিলবে রামপুরা ব্রিজে। এই করিডোরটি চালু হলে নগরবাসী প্রগতি সরণী এড়িয়ে সহজেই রামপুরা যেতে পারবেন। এছাড়া ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত আরও দুটি করিডোর বসুন্ধরার ভেতর দিয়ে আফতাবনগর পর্যন্ত প্রসারিত হবে, যা প্রগতি সরণীর যানবাহনের চাপ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে এমআরটি-১ (বিমানবন্দর-কমলাপুর) লাইনের নির্মাণ কাজ চলছে প্রগতি সরণীর নিচ দিয়ে। ফলে সড়কের দুই পাশে ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তর, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও গর্তের কারণে প্রতিনিয়তই বাড়ছে যানজট ও দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রিকশা, অটোরিকশা, ট্রাক, লরি সব ধরনের যানবাহন চলাচল করায় এমনিতেই চাপ বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাস্তা খোঁড়ার ভোগান্তি। বৃষ্টিতে গর্তে জমে থাকা পানি যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। তবে ডিএনসিসি জানিয়েছে, আগামী জুনেই প্রথম বিকল্প সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় চলছে। নগরবাসীরা বলছেন, তারা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চান। তারা আর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়তে চান না। সরকার যত দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে ততই ঢাকাবাসীর জন্য মঙ্গল বলে মনে করেন তারা। আন্দোলনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন সড়ক অচল হয়ে পড়ায় অনেক ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিও সৃষ্টি হচ্ছে। অতিষ্ঠ নগরবাসীকে অনেক সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়াতেও দেখা যাচ্ছে। এমনকি ঘটছে হাতাহাতির মতো ঘটনাও। মিরপুর ১০ নম্বরে অপেক্ষারত বাসযাত্রী সালেহা বেগম বলেন, বৃষ্টিতে রিকশা ও বাসের সংখ্যা কমে গেছে। যেটুকু আছে, সেটার জন্য দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আবার অনেক রিকশাওয়ালা বাড়তি ভাড়া চাইছে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন আহসান হাবিব। তিনি বলেন, এখন অফিসে যেতে হাতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় নিয়ে বের হতে হয়। বলাতো যায় না কখন কোথায় গিয়ে আন্দোলনের মধ্যে পড়তে হয়। অফিস তো আর কোনো অজুহাত শুনবে না। আবু জাফর নামের একজন বলেন, দুদিন পর পর কিছু হলেই রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন। দেশটা কি মগের মুল্লুক? এমনভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চলাচল করবে? মানুষের প্রয়োজনীয় কাজ থাকে না। সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। আন্দোলনের নামে সড়ক বন্ধ করে যা শুরু করেছে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মতো না। আমরা কি এদেশের মানুষ না? দেশটা কি শুধুই তাদের? আমাদের কি কোনো কাজ নেই? তারা আন্দোলন করবে, কিন্তু রাস্তা বন্ধ করবে কেন’ এভাবেই ক্ষোভ ঝাড়েন মাহবুব শেখ নামের একজন। অ্যাম্বুলেন্সচালক মো. তারেক বলেন, অ্যাম্বুলেন্সে রোগী দেখলে আন্দোলনকারীরা যাওয়ার রাস্তা করে দেয়। কিন্তু ঢাকা শহরে এক জায়গায় রাস্তা বন্ধ হলে পুরো ঢাকায় যানজট লেগে যায়। তখন কোনো দিক দিয়েই যাওয়ার উপায় থাকে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগী নিয়ে তীব্র যানজটে আটকে থাকতে হয়। ভিক্টর পরিবহনের চালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গাড়ি নিয়ে বের হলেই খরচ। গাড়ির তেল খরচ, মালিকের গাড়ি খরচ, রোড খরচ আরও কত খরচতো আছেই। এসব খরচের পর যে বাড়তি রোজগার হয় সেটা দিয়েই আমাদের সংসার চলে। কিন্তু যে পরিমাণ আন্দোলন রাস্তায় বের হলেই প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো জায়গায় সড়কে আটকা পড়তে হচ্ছে। সড়ক বন্ধ থাকলে গাড়ির চাকাও ঘুরে না। সারাদিন বসে থাকতে হয়। এদিন বিকালে গুলশান থেকে অফিস শেষ বের হয়ে যানজটের মুখে পড়েন বেসরকারি চাকরিজীবী তায়েবা আক্তার। রিকশায় কলাবাগান নিজ বাসার উদ্দেশে রওনা হয়ে তেজগাঁও লিংক রোডে পৌঁছালে তাকে বহন করা রিকশাটি যানজটে আটকা পড়ে। পরে রিকশা থেকে নেমে হেঁটেই রওনা দেন তিনি। তায়েবা বলেন, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল। না নেমে উপায় ছিল না। লিংক রোড থেকে বাকি পথ হেঁটেই বাসায় যেতে হবে। এছাড়া বৃষ্টিতে যারা রিকশায় চড়ে কিংবা ছাতা মাথায় দিয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন, তাদেরও ভোগান্তির কমতি নেই। বৃষ্টিতে রিকশা ও সিএনজিতে অতিরিক্ত ভাড়াও গুণতে হচ্ছে। পান্থপথ স্কয়ার হসপিটাল থেকে ফার্মগেট যাবেন সাব্বির আহমেদ ইয়াসমিন। স্কয়ার থেকে ফার্মগেট ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা ভাড়া। আজ গুণতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সাব্বির বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ভাড়া বাড়িয়ে দিতে হয়। এ শহরে এটা নতুন কিছু না। রাজধানীতে অন্ধকার নেমে এসেছে : গতকাল মঙ্গলবার বিকালেই সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এসেছে রাজধানীতে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বিকালে আকাশ অন্ধকার করে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে প্রায় ঢাকাজুড়েই। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে যানজটে ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে। এদিন ভোর থেকে রাজধানীর আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তেজ কমে আসতে শুরু করে। দুপুর নাগাদ আকাশ কালো হয়ে আসে। এরপর বেলা পৌনে দুইটা নাগাদ মতিঝিল, পল্টন, কাকরাইল, ফকিরাপুল, টিকাটুলি, গোপীবাগসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। তবে বৃষ্টি ছিল হালকা ধরনের। বিকালের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে পূর্বাভাস দেয় আবহাওয়া অধিদফতর। এরপর বিকালে আবহাওয়া হয় ঠিক তেমনই। ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেছে ঢাকা। রাস্তার গাড়িগুলোর প্রায় সব হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারি বেসরকারি অফিস ছুটির এই সময়ে একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি, অন্যদিকে যানজটের কবলে পড়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা রাজধানীবাসীর। বৃষ্টির সময় অফিস থেকে বের হলে যানবাহনের সংকট দেখা দেয় এমনিতেই। এরপর ভাড়ার মাত্রাও বাড়িয়ে দেয় রিকশাওয়ালা, সিএনজিওয়ালারা। ভোগান্তি তখন চরম আকার নেয়। আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স